যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মস্ত্রণালয়ের অওতাধীন একটি অধিদপ্তর । যুবদের সামগ্রিক কল্যানের উদ্দেশ্যে সরকার নির্ধারিত ও নির্দেশিত দায়িত্ব যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর পালন করে থাকে। একটি কথা প্রচলিত আছে যে, ‘‘বয়স্ক ব্যক্তিরা ইতিহাস লিখেন কিন্তু যুবসমাজ ইতিহাস তৈরী করে’’ । যে কোন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে সে দেশের কর্মক্ষম জনশক্তি । আর এ জনশক্তির সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে সে দেশের যুবসমাজ। বাংলাদেশ বিপুল যুব শক্তি ও ঐশ্বর্যের অধিকারী । যুব সমাজই উন্নয়নের চালিকা শক্তি । সম্ভাবনাময় এ যুবশক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ ধাপে ধাপে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে । বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪,১৭ ও ২০ অনুচ্ছেদগুলোতে যুব শ্রেণিসহ সমগ্র জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে যুব উন্নয়নের কাজ শুরু হয় এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেও যুব উন্নয়নের লক্ষ্যে কর্ম-পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । এরপর দেশের যুবসমাজকে যুবশক্তিতে পরিণত করার ব্রত নিয়ে ১৯৭৮ সালে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় । এবং পরবর্তীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হিসাবে পুনঃনামকরণ করা হয় । মাঠ পর্যায়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ১৯৮১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর গঠন করা হয় এবং তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর জেলায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যাক্রম শুরু হয় ১৯৯৫ সাল থেকে। জাতীয় যুব নীতিমালা অনুসারে ১৫-৩৫ বছর বয়সীদেরকে যুব বলে সংজ্ঞায়িত করা হয় । এ বয়সসীমার জনসংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ; যা আনুমানিক ৫ কোটি। জনসংখ্যার প্রতিশ্রুতিশীল, উৎপাদনমুখী ও কর্মপ্রত্যাশী এই যুব গোষ্ঠিকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তেরের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর রিলসভাবে প্রচেষ্টা চালিযে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর শুরু থেকেই প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর জনসংখ্যার এ অংশকে জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করে তাদের মাঝে ঘঠনমূলক মানসিকতা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা এবং সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনী হিসেবে দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত করার অনুকূল লক্ষ্যে তৈরীর উদ্দেশ্যে বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে যার সুফল ইতোমধ্যে জাতীয় কর্মকান্ডে প্রতিফলিত হচ্ছে। সুতরাং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যবন্টন অনুযায়ী, যুব সমাজকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়া তথা যুবসমাজকে মানব সম্পদে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
সাধারণ তথ্য
যে কোন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে সে দেশের কর্মক্ষম জনশক্তি। আর এ জনশক্তির সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে সে দেশের যুবসমাজ। যুব সমাজই উন্নয়নের চালিকা শক্তি। সম্ভাবনাময় এ যুবশক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ ধাপে ধাপে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিপুল যুব শক্তি ও ঐশবর্যের অধিকারী। মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ যুব। জাতীয় যুব নীতিমালা অনুসারে ১৫-৩৫ বছর বয়সীদেরকে যুব বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যুব সমাজকে সুসংগঠিত ও সুশৃংখল করে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়া তথা জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদেরকে সম্পৃক্তকরণের গুরম্নদায়িতব নিয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।
কর্মপ্রত্যাশী অনুৎপাদনশীল যুবসমাজকে সুসংগঠিত, সুশৃংখল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিতে রম্নপামত্মরের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরাকার ১৯৭৮ সালে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে যা পরবর্তীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বাসত্মবায়নের জন্য ১৯৮১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সৃষ্টি করা হয় । সে অনুযায়ী চাঁদপুর জেলায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যাক্রম শুরম্ন হয় ১৯৯৫ সাল থেকে ।
সুতরাং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যবন্টন অনুযায়ী, যুবসমাজকে মানব সম্পদে রূপামত্মরিত করার লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপর নিমণবর্ণিত কার্যাদি অর্পিত হয়েছেঃ
# বেকার যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী।
# প্রশিক্ষিত যুবদের আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচী ।
# ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী।
# দারিদ্র্য বিমোচন ঋণ কর্মসূচি।
# কর্মসংস্থানের ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ কর্মসূচি।
# বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়ে উদ্ধুদ্ধকরণ ও সচেতনতাবৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি।
# ইনোভেটিভ ম্যানেজমেন্ট অব রিসোর্সেস ফর পোভারটি এলিভিয়েশন থ্রু কম্প্রিহেনসিভ টেকনোলজি।
# জাতীয় ও আমত্মর্জাতিক যুব দিবসসহ বিভিন্ন দিবস পালন কার্যক্রম।
# যুব সংগঠন তালিকাভূক্তিকরণ ও অনুদান কর্মসূচি।
# উন্নয়নমূলক কাজে যুবদের স্বেচছায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা।
# যুবদের সফলতার স্বীকৃতি স্বরম্নপ যুব পুরম্নস্কার প্রদান কার্যক্রম।
# যুবদেরকে দায়িত্বশীল, আত্মবিশ্বাসী এবং অন্যান্য মানবিক গুণাবলী অর্জনে উৎসাহ প্রদানের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ।
# পরিবেশ উন্নয়ন ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি।
# যুব সমাবেশ, কর্মশালা, সিম্পোজিয়াম ও সেমিনার কার্যক্রম।
# ক্রীড়া, সংস্কৃতিক কার্যক্রম ও গবেষণা কার্যক্রম।
# প্রশিক্ষিত যুবদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ সরবারহ কর্মসূচী।
# সরকারী বেসরকারী পার্টনারশিপ কর্মসূচি।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের লক্ষ্য
# জেলার অনুৎপাদনশীল যুব সমাজকে সুসংগঠিত ও সুশৃংখল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপামত্মর করা।
# দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে যুবদের কর্মসংস্থান কিংবা স্ব- কর্মসংস্থানে নিয়োজিত করা।
# জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডে বেকার যুবদের সম্পৃক্ত করা।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উদ্দেশ্য
# জেলার যুবমাজকে উদ্ধুকরণ, প্রশিক্ষণ, যুব ঋণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে যুবদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করাসহ দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার প্রতিটি সত্মরে তাদের সম্পৃক্ত করা।
# বেসরকারী স্বেচছাসেবী যুবসংঘঠনের মাধ্যমে গোষ্টি উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য যুবদের বিভিন্ন গ্রম্নপে সংগঠিত করা।
# স্থানীয় পর্যায়ে যুবসংগঠনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং অংশগ্রহনমূলক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা ।
# যুবদের গণশিক্ষা কার্যক্রম, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা, প্রজনন স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পরিবেশ উন্নয়ন, সম্পদ সংলক্ষন ইত্যাদি আর্থ-সামাজিক কার্যক্রমে সম্পৃক্তকরণ এবং সমাজবিরোধী কার্যকলাপ, জেন্ডার বৈসম্য, নারীনির্যাতন ও ইভটিজিং, মাদক দ্রব্যের অপব্যাবহার , জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, এইচআইভি/এইডস এবং এসটিডি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ।
# যুবদের ক্ষমতায়ন এবং সিদ্ধামত্ম গ্রহনমূলক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
আসসালামুআলাইকুমভাইভালোআছে। আমি দেশের বাহিরে থাকি আমি কি আপনাদের কাছে প্রোশিখনের জন্য আসতে পারি কিবাবে আসবো চাঁদপুর কোনযায়গা। রি
ReplyDeleteআমি,চাদঁপুর -কচুয়ার সন্তান।আমি যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে, গবাদি পশু পালনের প্রশিক্ষন নিতে চাই।প্রশিক্ষন নিতে হলে কি কি করনিয় ,যানাবেন। please.
ReplyDelete