চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায়
আয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সকালে।
জানা যায়, সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের আলগী পাঁচগাঁও গ্রামের মৃধা বাড়ির সফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬০) হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে গত ৫ মে বিকেলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৪টায় রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে তার নিকট আত্মীয়দেরকে খবর দেয়া হয়। এ সময় সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুকবুল হোসেন দ্রুত হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ছুটে আসেন। ওই মহিলা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত আয়া কাকলী রাণী কলাপসেবল গেইট না খুলে মুকবুল হোসেনের সাথে বাক্বিত-ায় জড়িয়ে পড়ে এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এরপরও আয়া কাকলী গেইট খুলেনি। যার ফলে রোগী ফাতেমা বেগমকে ডাক্তার না দেখাতে পারায় সকাল সোয়া ৬টায় মারা যায়। এ নিয়ে হাসপাতালে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্র নাথ মজুমদার ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ প্রদীপ কুমার দত্তকে মুকবুল হোসেন অবগত করেন। তারা মুকবুল হোসেনকে আশ্বস্ত করেন এখন থেকে আমরা আয়া কাকলীকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। একই ধরনের কথা জানালেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ বেলায়েত হোসেন। আজ শনিবার সকাল ১১টায় রোগীর মৃত্যুর এ বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রোগী পক্ষের লোকজনের সাথে বসবেন বলে জানা যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফ আহমেদ জানান, ফাতেমা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। হাসপাতালের অনেকেই জানান, আয়া কাকলী রোগীদের সাথে প্রায় সময় খারাপ আচরণ করেন। ইতোপূর্বেও এ ধরনের কর্মকা-ের জন্যে তাকে কয়েকবার চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিলো। পুনরায় সে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে-পায়ে ধরে চাকুরিতে যোগ দেন। আরো জানা গেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনির এক নিকট আত্মীয় অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ওই রোগীর লোকজনের সাথেও একই ধরনের আচরণ করেছিলো।
No comments: