চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে পৌর এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে শহরের নতুনবাজার গাছতলা ব্রিজ সংলগ্ন ঘোড়ামারা আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকায় স্থানীয় সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জিওবি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
কাজের অগ্রগতির বিষয়ে চাঁদপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ কবির চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, একই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরাণবাজারে ১টি এবং প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুনবাজারে ১টি ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পুরাণবাজার পানি শোধনাগারটি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করি, এটি আগামী দেড় থেকে দু’ মাসের মধ্যে চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে পারবো। অপরদিকে ঘোড়ামারা আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকায় নির্মাণাধীন শোধনাগারটির কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেটি আগামী ডিসেম্বরের আগেই কাজ শেষ হবে। তিনি আরো জানান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদের আন্তরিকতার এবং নির্মাণ কাজের বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখার কারণেই চলমান নির্মাণ কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশা রাখি। সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্যে তিনি মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদকে ধন্যবাদ জানান। অপরদিকে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নান্নু হাওলাদারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী ও নির্মাণ শ্রমিক থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে পারবো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুনবাজার ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণের পাশাপাশি এখানে ৬৮০ ঘন মিটার পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওভারহেড পানির ট্যাঙ্কি নির্মাণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জিওবি প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৭ জেলা শহরে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ঘণ্টায় ৩৫০ ঘনমিটার উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার ২টি চালু হলে চাঁদপুর পৌরবাসীর বিশুদ্ধ খাবার পানির স্থায়ী সমস্যা সমাধান হবে এমনটাই আশ্বাস চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষের।
No comments: