চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট এলাকাটি মেঘনার ভাঙ্গনের মুখে হুমকির সম্মুখীন। আবার হাইমচর উপজেলার চরভৈরবীতেও রয়েছে নদী ভাঙ্গন। সামনে ভর বর্ষা, কিন্তু ভাঙ্গনরোধে নেয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। এ পরিস্থিতিতে ভাঙ্গন আতঙ্কে আছেন ১৩নং হানারচর ইউনিয়ন এবং চরভৈরবী এলাকার সাধারণ মানুষ। বসতভিটে, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা এখন ভাঙ্গনে বিলীন হতে চলেছে।
'চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিস যে কোনো মুহূর্তে হরিণা ঘাটের ভাঙ্গনের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সামনে পানি বাড়লে পন্টুন গ্যাংওয়ে নিমজ্জিত হয়ে পড়বে, তখন ফেরিতে গাড়ি কোনোভাবেই লোড-আনলোড করতে পারবে না'। এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন খোদ বিআইডাবিস্নউটিসির ফেরিঘাট বাণিজ্যিক ম্যানেজার ইমরান খান রুহান। তিনি জানান, নদী ভাঙ্গন বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছেন। হরিণা ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ফেরিঘাট জামে মসজিদ ও মাদ্রাসাটি ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। এ পর্যন্ত তিনবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে মৎস্য আড়ৎ, দোকান ও অসংখ্য বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিতে হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। এবার শুষ্ক মৌসুমে নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করার কথা ছিলো। কিন্তু সেই কাজের কোনো খবর নেই।
একটি সূত্রে জানা যায়, সরকারের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় চাঁদপুরের অবশিষ্ট নদী ভাঙ্গন রোধের কাজটি থমকে আছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আতাউর রহমান জানান, হরিণা ফেরিঘাট ও হাইমচর চরভৈরবী এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ভাঙ্গন এলাকায় বাঁধ নির্মাণে ১শ' ১৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে এর ডিপিপি বর্তমানে একনেকে অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে অচিরেই ভাঙ্গন রোধে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
অপর একটি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চাঁদপুর হরিণা ও হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত প্রকল্পটি গত ৮মে প্রি-একনেকের বাছাই কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। প্রকল্প বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসু। সামনের একনেকের মিটিংয়ে প্রকল্পটি অনুমোদিত হবে বলে জানা গেছে।
No comments: