ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। এর মধ্যে শুধু পাবনাতেই মারা গেছেন ছয় জন। এছাড়া রাজশাহীতে পাঁচ এবং কিশোরগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। রাজধানীসহ দেশের অনেক জায়গায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের সময় ব্যাপক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর কাঠেরপুলে কনকর্ড বালুর মাঠে বজ্রপাতে আহত হন আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহেদ সোহগ ও নোমান হাসান লিঙ্কন। ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যান তারা।
বজ্রপাতে পাবনায় মারা গেছেন ছয় জন। শুধু সুজানগরেই নানা-নাতনীসহ মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। চাটমোহরে মারা গেছে দুই জন।
রাজশাহীর মোহনপুর, দুর্গাপুর ও গোদাগাড়ীতে দুই নারীসহ মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। মোহনপুরে তিন কৃষক, গোদাগাড়ী ও দুর্গাপুরে মৃত্যু হয়েছে দুই নারীর। আর বাগমারায় বজ্রপাতে আহত ছয় জন।
কিশোরগঞ্জে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে হোসেনপুরের শরীফুল ইসলাম, ইশাপশর গ্রামের মমতা বেগম, কৈকুরি গ্রামের রেজিয়া খাতুন ও বাহের নগরের মোহাম্মাদ স্বপন। নরসিংদীর ফকিরের চরে মারা গেছেন জোসনা বেগম। এছাড়া মহিষাশুড়ায় কৃষক আব্দুল করিম ও চম্পকনগরে মারা গেছেন গৃহবধূ ফুলি বেগম।
নাটোরের লালপুরে আম কুড়াতে গিয়ে মারা যান সাহারা বানু। রঘুনাথপুরে মৃত্যু হয়েছে মোবারক আলীর।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার, সিরাজগঞ্জে তিন, টাঙ্গাইলে তিন, বগুড়া, গাজীপুর, নেত্রকোণায় দুজন করে এবং একজন করে মারা গেছেন হবিগঞ্জ, পিরোজপুর, নীলফামারী ও নওগাঁয়।
No comments: