গতকাল সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলেও এবার ওয়েব সাইটে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে টপশীট না আসায় তারা পুরো ফরিদগঞ্জ উপজেলার ন্যায় কোন উপজেলা ও জেলার কর্মকর্তা এবং সংবাদকর্মীরা উপজেলা বা জেলাওয়ারী ফলাফল পায়নি। অনেক স্কুল ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়েও প্রকৃত ফলাফল পাওয়া যায়নি। ফলে সংবাদকর্মীরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। এদিকে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফোন করলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানান, গ্রামাঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকায় তারা ফলাফল শীট বের করতে পারেন নি। রূপসা আহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহাম্মদও একই কথা বলেন।
ফলাফলের টপশীট না পাওয়ার ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লা আল মামুন জানান, তারা কোনো ফলাফল শীট পাননি। তবে সব প্রতিষ্ঠান থেকে ফলাফল সংগ্রহ করতে বৃহস্পতিবার লেগে যাবে।
এদিকে মোবাইল ফোনে যে কয়েকটি বিদ্যালয়ের ফলাফল জানা গেছে, তার মধ্যে পুরো উপজেলায় জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ফরিদগঞ্জ এ আর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। তাদের ১২২ জনের মধ্যে ১১৫ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৪.৭১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন। ফরিদগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৪ জনের সকলেই পাস করলেও জিপিএ-৫ নেই। এ পেয়েছে ৩৫ জন। আদর্শ একাডেমী ফরিদগঞ্জ-এর ৪৩ জনের সকলেই পাস করেছে। তাদের জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন ও এ ১৫ জন। রূপসা আহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৩২ জন। পাসের হার ৯২.৩০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ২১৮ জন। পাসের হার ৯৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। কালির বাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২২ জনের মধ্যে পাস করেছে ৮৭ জন। পাসের হার ৭১.৩১ ভাগ। কেরোয়া হোসনেয়ারা বেগম আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের ৩৮ জনের মধ্যে ৩৬ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৪.৭৩ ভাগ।
No comments: