» » » অর্থাভাবে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় চাঁদপুর শিশু-কিশোর ফুটবল একাডেমীর প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে



চাঁদপুরের ফুটবল উন্নয়নে একঝাঁক ক্ষুদে ফুটবলারদের নিয়ে চালু হয় চাঁদপুর শিশু-কিশোর ফুটবল একাডেমী। এ ফুটবল একাডেমীর মূল উদ্দেশ্য হলো যুব সমাজকে সারাবছর ক্রীড়ার সাথে সম্পৃক্ত রাখা এবং জাতীয় পর্যায়ে চাঁদপুরের ফুটবলাররা যে সুমাম বয়ে আনতে পারে সেজন্য প্রশিক্ষণ দেয়া। এ চিন্তা চেতনা থেকে সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইউসুফ বকাউল, ক্রীড়াপ্রেমী রিপন পাটওয়ারীসহ বেশ কয়েকজনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা হয় চাঁদপুর ফুটবল একাডেমী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১ বছর ক্ষুদে ফুটবলাররা চাঁদপুর ফুটবল একাডেমীর প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে ফুটবলের অনেক স্কীল সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে। ফুটবল একাডেমীর প্রশিক্ষণ দেয়ার দায়িত্বে রয়েছেন কোচ ইউসুফ বকাউল, টুটুল চক্রবর্তী ও জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী। কর্মকর্তারা জানান, একটি ফুটবল একাডেমী সারাবছর মাঠে অনুশীলন করতে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণ অর্থের। একাডেমী চালু করার পর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাবেক জাতীয় ফুটবলার গোলাম মোস্তফা বাবু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন। তিনি প্রশিক্ষণের জন্য মাঠ ও বল প্রদান করেন। সে সাথে অন্যান্য সহযোগিতাও করেছেন। এছাড়াও চাঁদপুর মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা কাশেম খানও প্রথম পর্যায়ে জার্সি প্রদান করে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু এ ক্ষুদে ফুটবলারদের অনুশীলনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। এ ক্ষুদে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সরঞ্জাম ও নাস্তা খাওয়ার ব্যয়ভার বহন করার জন্য প্রতিদিন শত শত টাকা প্রয়োজন হয়। ফলে একপর্যায়ে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় ক্ষুদে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ। বন্ধ থাকে দীর্ঘ ৩ মাস ফুটবল একাডেমীর প্রশিক্ষণ। কর্মকর্তারা অনেক চেষ্টা করেও অর্থ যোগার করতে ব্যর্থ হয়ে ফুটবলারদের দিকে তাকিয়ে নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী খরচ দিয়ে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় চাঁদপুরের শিশু-কিশোর ফুটবল একাডেমীর প্রশিক্ষণ চালু করে।
    এ বিষয়ে কথা হয় একাডেমীর ফুটবল প্রশিক্ষক ইউসুফ বকাউলের সাথে। তিনি জানান, বর্তমানে এ একাডেমীতে প্রায় অর্ধশতাধিক ফুটবলার রয়েছে। এ ফুটবলাররা চাঁদপুর শহরের ছেলে। এখানে অনেক অস্বচ্ছল পরিবারের সন্তান রয়েছে। আমরা চাই এখান থেকে একদিন জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরি হবে। এ ফুটবলারদের অনুশীলনের জন্যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। আমরা নিজেদের চেষ্টার কোনোরকম প্রশিক্ষণ চালিয়ে নিচ্ছি। এখানে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। সুযোগ পেলে তারা চাঁদপুরের জন্যে অনেক বড় সুনাম বয়ে আনবে। সর্বোপরি কথা হলো এ ফুটবল একাডেমীর জন্য একটি কোম্পানী স্পন্সর পাওয়া গেলে অনেক ভালো হতো। এছাড়া যদি ক্রীড়াপ্রেমীরা এগিয়ে আসেন তাহলে চাঁদপুর ফুটবল একাডেমীর ফুটবলাররা একদিন বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে খেলবে বলে তিনি স্বপ্ন দেখেন।

About Azad Hossain

MD Azad Hossain. Simple Blogger on Blogspot. Blogger Address: BD Blogger Tamplate I Our Shahrasti I Our Chandpur/
«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply

চাঁদপুর জেলার প্রামান্যচিত্র