পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে ফরিদগঞ্জ-চাঁদপুর সড়কে সিএনজি অটোরিক্সার অসাধু চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিন/চার গুণ ভাড়া আদায় করেই যাচ্ছে। এ চিত্র গত কয়েক বছর ধরে চললেও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কোন প্রশাসন তা রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে। যাত্রীরা এই অসাধু চালক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সরকারের কোনো সংস্থাই এ ব্যাপারে মাথা ঘামাচ্ছে না। গত শনিবার থেকেই মাত্রাতিরিক্ত হারে এ ভাড়া আদায় শুরু হয়েছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সড়ক পথের দূরত্ব প্রায় ১৭ কিলোমিটার। চাঁদপুর বাসষ্ট্যান্ড হয়ে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটের দূরত্ব সর্বোচ্চ আরো ৪ কিলোমিটার বেশি হবে। এ দূরত্বের জন্যে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা যাত্রী প্রতি নির্ধারিত ভাড়া চাঁদপুর কালীবাড়ি পর্যন্ত ৪০ টাকা ও লঞ্চঘাট পর্যন্ত ৫০ টাকা ইতিপূর্বে নিলেও প্রতিবছর ঈদকে পুঁজি করে তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। ৪০/৫০ টাকার স্থলে এরা যাত্রী প্রতি ১৫ থেকে ২শ’ টাকা হারে আদায় করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। লোকলজ্জা কিংবা হয়রানির ভয়ে কোনো যাত্রী এ জুলুমের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিবছরই ঈদকে কেন্দ্র করে শহর ছেড়ে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে আসা লোকদের কাছ থেকে এক শ্রেণীর অসাধু চালক মাত্রাতিরিক্তি ভাড়া আদায় করে থাকে। প্রতিদিনই উক্ত সড়ক দিয়ে কয়েকটি জেলার বিভিন্ন রুটের হাজার হাজার যাত্রী চলাচল করে। বিশেষ করে ঢাকা থেকে নদী পথে চাঁদপুর এসে ফরিদগঞ্জের যাত্রীরা যখন ফরিদগঞ্জের উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিক্সা করে যাত্রা করে, তখনই যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা জানায়, ঈদের সময় একদিকের যাত্রী পাওয়া যায়। অর্থাৎ চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জগামী যাত্রীই পাওয়া যায়, ফরিদগঞ্জ থেকে চাঁদপুর যাওয়ার সময় যাত্রী পাওয়া যায় না। এমন অজুহাত দেখিয়ে প্রতি বছরই ঈদকে পুঁজি করে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলছেই। তবে সিএনজি অটোরিক্সার ক’জন মালিক জানান, চালকরা জমা হিসেবে প্রতিদিন আমাদের যা দেয়, ঈদের সময়ও তাই দিচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন। ভুক্তভোগীদের দাবি, অন্তত ঈদকে কেন্দ্র করে ঈদের আগে ও পরে কমপক্ষে ১৫ দিন প্রশাসনের নিবিড় তদারকিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে উক্ত বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
No comments: